Computer Misuse Act 1990
🛑 Computer Misuse Act 1990-এর ৪টি অপরাধ :
এই আইনে যেসব কাজ অবৈধ (illegal) ঘোষণা করা হয়েছে:
✅ 1. Unauthorized Access to Computer Material
👉 অন্যের অনুমতি ছাড়া কম্পিউটারে ঢোকা (মানে: হ্যাক করা)
📌 উদাহরণ: কাউকে না জানিয়ে তার পিসিতে ঢুকে ফাইল দেখা
✅ 2. Unauthorized Access with Intent to Commit Further Crime
👉 অনুমতি ছাড়া ঢুকে আরও অপরাধ করার উদ্দেশ্যে কাজ করা
📌 উদাহরণ:
সিস্টেমে ঢুকে তথ্য চুরি করা
-
ভাইরাস দিয়ে নেটওয়ার্ক নষ্ট করা
✅ 3. Unauthorized Modification of Data
👉 তথ্য মুছে ফেলা, পরিবর্তন করা, ভাইরাস ঢোকানো ইত্যাদি অপরাধ
📌 উদাহরণ:
স্পাইওয়্যার ইন্সটল করা
-
ফাইল ডিলিট করে দেওয়া
-
সিস্টেমে পরিবর্তন এনে ক্ষতি করা
✅ 4. Making, Supplying or Obtaining Hacking Tools
👉 হ্যাকিং বা ক্ষতিকর কাজের জন্য যেকোনো টুল বানানো, সরবরাহ করা বা কেনা
📌 উদাহরণ:
ভাইরাস বানানো
-
হ্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি বা কারো কাছে বিক্রি করা
📌 এই ৪টি অপরাধের আওতায় যা পড়ে:
অপরাধ | ব্যাখ্যা |
---|---|
হ্যাকিং | অনুমতি ছাড়া ঢোকা |
ডেটা চুরি | তথ্য চুরি করে ব্যবহার |
ভাইরাস ছড়ানো | ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো |
ব্ল্যাকমেইল | ডেটা চুরি করে ভয় দেখানো |
কম্পিউটার জালিয়াতি | প্রতারণা করে টাকা/তথ্য নেওয়া |
⚖️ এই আইন কাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
ছাত্র-ছাত্রী
-
অফিসের কর্মচারী
-
আইটি ও সাইবার সিকিউরিটি পেশাজীবী
-
সাধারণ ব্যবহারকারী (যেন তারা সচেতন থাকে)
🔚 সারসংক্ষেপ:
এই আইন হ্যাকিং, তথ্য চুরি, ভাইরাস ছড়ানো এবং হ্যাকিং টুল ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে।
⚖️ CMA (Computer Misuse Act) – সময়ের সাথে সমস্যাগুলো
🕰️ পুরনো আইন, আধুনিক প্রযুক্তি
👉 1990 সালে এই আইনটি তৈরি করা হয়েছিল, যখন ইন্টারনেট ও সাইবার নিরাপত্তা আজকের মতো উন্নত ছিল না।
👉 এখনকার টেকনোলজি অনেক এগিয়েছে, কিন্তু আইনটি সেই পুরনো মানদণ্ডে রয়ে গেছে।
🚫 সব ধরনের Unauthorized Access অপরাধ – এমনকি ভালো উদ্দেশ্যেও
👉 এই আইনে বলা আছে:
"যে কেউ অনুমতি ছাড়া কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকলেই অপরাধী" –
সে ভালো উদ্দেশ্যে হোক বা খারাপ!
📌 অর্থাৎ, যদি কোনো Ethical Hacker (ভালো হ্যাকার) বা Security Researcher কোনো দুর্বলতা খুঁজে বের করে কোম্পানিকে সতর্ক করে — তবুও সেটা এই আইনে অপরাধ।
⚠️ Ethical Hacking ও Security Research অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়
👉 অনেক সময় সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা কোম্পানির সিস্টেম স্ক্যান করে ভুল-ত্রুটি বা হ্যাকিং ঝুঁকি খুঁজে বের করেন।
👉 CMA তাদের এই কাজকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, কারণ তারা অনুমতি ছাড়া সিস্টেমে ঢুকে থাকতে পারেন।
💣 এর ফলে কী সমস্যা হচ্ছে?
নিরাপত্তা গবেষকরা ভয় পান — তাদের কাজ আইন ভঙ্গ না হয়ে যায়।
-
কোম্পানিগুলো সময়মতো ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারছে না, কারণ কেউ সতর্ক করলেও তা আইনত সমস্যা হতে পারে।
-
সাইবার অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বাড়ছে, কারণ নিরাপত্তা দুর্বলতা ধরা পড়ছে না ঠিকমতো।
🧩 সারসংক্ষেপে:
বিষয় | ব্যাখ্যা |
---|---|
আইন পুরনো | 1990 সালের আইন, আধুনিক হুমকির সাথে মেলে না |
সমস্যার মূল | সব ধরনের অনুমতি ছাড়া অ্যাক্সেস অপরাধ ধরা হচ্ছে |
এর ফলাফল | Ethical Hacker এবং Security Analyst-এর কাজ বাধাগ্রস্ত |
ঝুঁকি | কোম্পানি সময়মতো হুমকি ধরতে না পারলে আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে |