Header Ads

Header ADS

Software Testing Metrics

 Software Testing Metrics হলো কিছু পরিমাপযোগ্য মানদণ্ড বা পরিমিতি (measurable values) যা সফটওয়্যার টেস্টিং প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা, গুণমান, অগ্রগতি ও ফলাফল বোঝাতে সাহায্য করে।


🔹 সহজভাবে বললে:

Software Testing Metrics হচ্ছে এমন কিছু সংখ্যাগত মান, যা দিয়ে আমরা বুঝতে পারি আমাদের টেস্টিং কতটা ভালোভাবে হচ্ছে, কতটুকু কাজ হয়েছে, কতটা বাগ ধরা পড়েছে, ইত্যাদি।


🔸 কেন দরকার?

✅ টেস্টিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে
✅ টেস্টিং এর অগ্রগতি ও গুণমান বোঝাতে
✅ ম্যানেজমেন্ট রিপোর্টিং এর জন্য
✅ উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করতে
✅ ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট প্ল্যানিং ও estimation করতে


🔸 সাধারণ কিছু Software Testing Metrics:

মেট্রিক্সের নাম ব্যাখ্যা
Test Case Execution Status কতগুলো টেস্ট কেস রান হয়েছে, পাস/ফেইল হয়েছে
Defect Density প্রতি ১০০০ লাইনে কতগুলো বাগ পাওয়া গেছে
Test Coverage কত শতাংশ কোড টেস্টিং এর আওতায় এসেছে
Defect Leakage প্রোডাকশনে যাওয়ার পরে কতগুলো বাগ ধরা পড়েছে
Test Case Effectiveness টেস্ট কেস দিয়ে কতটা কার্যকরভাবে বাগ ধরা পড়েছে
Mean Time to Detect (MTTD) একটা বাগ খুঁজে বের করতে গড়ে কত সময় লেগেছে
Mean Time to Repair (MTTR) একটা বাগ ঠিক করতে গড়ে কত সময় লেগেছে

🔸 উদাহরণ:

ধরি ২০০টি টেস্ট কেস আছে, এর মধ্যে 160টা পাস করেছে, 30টা ফেইল করেছে, ১০টা এখনো রান হয়নি।
তাহলে:

  1. Test Case Pass % = (160 / 200) × 100 = 80%

  2. Failure % = (30 / 200) × 100 = 15%

  3. Not Executed % = (10 / 200) × 100 = 5%



🔍 Software Testing-এ Metrics এর গুরুত্ব


🔹 ১. ✅ সফটওয়্যারের গুণমান ও পারফরম্যান্স যাচাই:

  1. Test Metrics আমাদের বলে দেয় সফটওয়্যারের quality ও performance কেমন।

  2. যেমন: defect density, test coverage, pass/fail rate — এসব দিয়ে সহজেই বোঝা যায় সফটওয়্যারটি কতটা নির্ভরযোগ্য।


🔹 ২. ✅ ডেভেলপারদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো:

  1. সঠিক মেট্রিক্স ব্যবহার করলে ডেভেলপার ও টেস্টাররা বুঝতে পারে কোন জায়গায় সময় বেশি লাগছে, কোন জায়গায় ভুল বেশি হচ্ছে — সেই অনুযায়ী তারা নিজেদের কাজের ধরন উন্নত করতে পারে।


🔹 ৩. ✅ উন্নয়ন প্রয়োজন এমন জায়গা চিহ্নিত করা:

  1. Metrics সাহায্যে বোঝা যায় কোথায় bug বেশি, বা কোন অংশে test coverage কম — সেই জায়গায় enhancement বা optimization প্রয়োজন।

🔹 ৪. ✅ পরবর্তী টেস্টিং পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়:

  1. Metrics দেখে বুঝা যায় প্রজেক্টের সময়সূচি (schedule)খরচ (cost estimate) কীভাবে করা উচিত।

  2. যেমন: যদি defect leakage বেশি হয়, তাহলে বুঝা যাবে আরও সময় দরকার বা resource বাড়াতে হবে।


🔹 ৫. ✅ বিদ্যমান প্রযুক্তি বা পদ্ধতির মূল্যায়ন:

  1. Test metrics দেখে বর্তমান টেস্টিং পদ্ধতি বা টুলস কার্যকরী কিনা সেটা যাচাই করা যায়।

  2. প্রয়োজনে নতুন টুল বা পদ্ধতি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।





🧮 Software Testing Metrics-এর প্রকারভেদ

সাধারণভাবে Software Testing Metrics কে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়:


🔹 1. Process Metrics (প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মেট্রিক্স)

টেস্টিং প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে, তা বিশ্লেষণ করে।

উদাহরণ:

  1. Test Effort (ঘন্টায় কত সময় লেগেছে)

  2. Test Efficiency (টেস্ট করার সময় defect কতটা ধরা পড়েছে)

  3. Defect Removal Efficiency (DRE)

উদ্দেশ্য:
প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর ও উন্নত করা দরকার তা বোঝাতে সাহায্য করে।


🔹 2. Product Metrics (পণ্যের মান সম্পর্কিত মেট্রিক্স)

সফটওয়্যার পণ্যের গুণমান, পারফরম্যান্স, ও বাগ সম্পর্কিত তথ্য দেয়।

উদাহরণ:

  1. Defect Density (প্রতি 1000 লাইনে কয়টি bug)

  2. Code Coverage (কত % কোড টেস্ট হয়েছে)

  3. Reliability (বিশ্বস্ততা)

উদ্দেশ্য:
সফটওয়্যারের গুণমান যাচাই ও বিশ্লেষণ।


🔹 3. Project Metrics (প্রজেক্ট সংক্রান্ত মেট্রিক্স)

পুরো প্রজেক্ট কতদূর অগ্রসর হয়েছে, কতটা সময়/রিসোর্স খরচ হয়েছে তা ট্র্যাক করে।

উদাহরণ:

  1. Test Case Execution Rate

  2. Schedule Variance

  3. Cost Variance

  4. % of Test Completion

উদ্দেশ্য:
প্রজেক্টের অগ্রগতি ট্র্যাক ও পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে কি না তা যাচাই।


🎯 Bonus: Common Testing Metrics Examples

মেট্রিক্স নাম ব্যাখ্যা
Test Case Pass Rate মোট টেস্ট কেসের মধ্যে কত % পাস করেছে
Defect Leakage টেস্টিং বাদ দিয়ে প্রোডাকশনে কত বাগ গেছে
Mean Time to Detect বাগ খুঁজে পেতে গড়ে কত সময় লেগেছে
Test Execution Time পুরো টেস্ট শেষ করতে কত সময় লেগেছে
Reopened Defects ফিক্স করার পর আবার defect খুলেছে কিনা




Software Metrics-এর ধরনসমূহ (Types of Software Metrics)

সফটওয়্যারের গুণমান, কার্যকারিতা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া পরিমাপ করার জন্য মেট্রিক্স তিনভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়:


🔹 ১. Internal Metrics (আভ্যন্তরীণ মেট্রিক্স)

  1. এই মেট্রিক্সগুলো সেই বৈশিষ্ট্যগুলো পরিমাপ করে, যা ডেভেলপারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ইউজারদের জন্য সরাসরি দৃশ্যমান না

  2. উদাহরণ:

    1. Lines of Code (LOC) — কত লাইন কোড লেখা হয়েছে

    2. Cyclomatic Complexity

    3. Code Maintainability

  1. ব্যবহার: কোডের জটিলতা, পরিপক্বতা এবং refactoring দরকার কি না তা বুঝতে।


🔹 ২. External Metrics (বহিঃস্থ মেট্রিক্স)

  • এই মেট্রিক্সগুলো ইউজারদের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বা বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করে।

  • উদাহরণ:

    1. Portability – সফটওয়্যার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চলে কিনা

    2. Reliability – সফটওয়্যার কতটা নির্ভরযোগ্য

    3. Functionality – ফিচারগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা

    4. Usability – ব্যবহারকারীর পক্ষে বুঝে ব্যবহার করা কতটা সহজ

ব্যবহার: সফটওয়্যারের ব্যবহারযোগ্যতা ও বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে গুণমান বিচার করতে।


🔹 ৩. Hybrid Metrics (মিশ্র মেট্রিক্স)

  1. এই মেট্রিক্সগুলো product, process এবং resource মেট্রিক্সকে একত্রে বিবেচনা করে।

  2. উদাহরণ:

    1. Cost per Function Point (FP)
      → কত খরচে একটি function point তৈরি করা হয়েছে
      → যেখানে FP মানে হলো একটি সফটওয়্যারে কতগুলো business function বা কাজ রয়েছে।

ব্যবহার: Productivity, resource efficiency, এবং cost-benefit বিশ্লেষণের জন্য।


🎯 সংক্ষেপে:

মেট্রিক্স টাইপ কার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ
Internal ডেভেলপার LOC, Complexity
External ইউজার Usability, Reliability
Hybrid ম্যানেজমেন্ট / বিশ্লেষক Cost per FP, ROI, Productivity




Test Metrics Life Cycle–এর চারটি ধাপ :


১. Analysis (বিশ্লেষণ)

ডেটা সংগ্রহ করার পর প্রথম ধাপে তা বিশ্লেষণ করা হয়—যেমন defect trends, টেস্টিং এর গতি, পাস/ফেইল রেট ইত্যাদি বোঝা হয়।


২. Communication (যোগাযোগ)

বিশ্লেষণের পর টেস্ট টিম, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি করা হয়। এই ধাপে মেট্রিক্সের ফলাফল যোগাযোগ করা হয় যাতে সবাই অবগত থাকে।


৩. Evaluation (মূল্যায়ন)

যে মেট্রিক্স বা ফলাফল পাওয়া গেল তা মূল্যায়ন করা হয়—

  • লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে কি না

  • টেস্টিং কার্যকর হয়েছে কি না

  • কোথায় উন্নতির সুযোগ আছে


৪. Report (রিপোর্ট তৈরি)

শেষ ধাপে মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটি ডকুমেন্টেড রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যেখানে স্পষ্টভাবে performance, defect, coverage ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।


🔁 এই চারটি ধাপ একটি চক্রাকারে (cyclical process) চলে, অর্থাৎ Report → Analysis আবার শুরু হয় পরবর্তী রিলিজ বা টেস্টিং সাইকেলের জন্য।



Powered by Blogger.