Header Ads

Header ADS

Symmetric Cryptography

 






সিমেট্রিক কী ক্রিপ্টোগ্রাফি (Symmetric Key Cryptography)

এটা এক ধরনের এনক্রিপশন পদ্ধতি যেখানে একই "কী" (key) ব্যবহার করে তথ্য এনক্রিপ্ট (লুকানো) এবং ডিক্রিপ্ট (পুনরুদ্ধার) করা হয়। অর্থাৎ, প্রেরক এবং গ্রহণকারী—দুজনের কাছেই সেই একই গোপন কী থাকতে হবে।

🔐 সহজ উদাহরণ:
তুমি আর তোমার বন্ধু যদি একটা তালা আর চাবি শেয়ার করো, তাহলে তোমরা দুজনই সেই তালা খুলতে পারো। সেই চাবিটাই হচ্ছে "সিমেট্রিক কী"।


সুবিধা (Advantages):

  1. দ্রুতগতি:
    সিমেট্রিক ক্রিপ্টোগ্রাফি খুব দ্রুত কাজ করে, তাই বড় ডেটা এনক্রিপ্ট করতে ভালো।

  2. সহজ অ্যালগরিদম:
    এর অ্যালগরিদমগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম কম্পিউটিং পাওয়ার ব্যবহার করে।

  3. কম রিসোর্স চায়:
    মোবাইল বা ছোট ডিভাইসেও সহজে ব্যবহার করা যায়।


অসুবিধা (Disadvantages):

  1. Key শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ:
    একই কী প্রেরক ও গ্রহণকারী দুজনের কাছেই রাখতে হয়। কী যদি মাঝপথে চুরি হয়, তাহলে নিরাপত্তা নষ্ট হয়।

  2. স্কেলিং সমস্যা:
    অনেক ইউজার থাকলে, প্রত্যেক পেয়ারে আলাদা কী দরকার হয়। এতে কী ম্যানেজমেন্ট কঠিন হয়ে যায়।

  3. নন-রেপুডিয়েশন নেই:
    যেহেতু একই কী সবাই ব্যবহার করে, কেউ অস্বীকার করলে প্রমাণ করা যায় না কে কী পাঠিয়েছে।


🔐 Symmetric Encryption এর ৫টি উপাদান (উপাদানগুলো):

  1. প্লেইনটেক্সট (Plaintext):
    এটি হলো আসল ও পাঠযোগ্য মেসেজ বা ডেটা, যেটা আমরা গোপন করতে চাই। উদাহরণস্বরূপ, "My password is 1234" — এই লাইনটাই হতে পারে প্লেইনটেক্সট।

  2. এনক্রিপশন অ্যালগরিদম (Encryption Algorithm বা Cipher):
    এটি এমন একটি প্রক্রিয়া বা অ্যালগরিদম যা প্লেইনটেক্সটের উপর বিভিন্ন ধরণের রূপান্তর (transformation) ও প্রতিস্থাপন (substitution) করে, যাতে তা বুঝতে না পারা যায়।

  3. সিক্রেট কী (Secret Key):
    এই কী হল একটি গোপন মান যেটা প্লেইনটেক্সটের সাথে অ্যালগরিদমে ব্যবহার হয়। এই কী ছাড়া কেউ ডেটা ডিক্রিপ্ট করতে পারবে না।
    ❗ একই প্লেইনটেক্সট, কিন্তু দুইটি আলাদা কী ব্যবহার করলে দুইটি আলাদা সাইফারটেক্সট তৈরি হবে।

  4. সাইফারটেক্সট (Ciphertext):
    এটি হলো এনক্রিপ্ট হওয়া মেসেজ—অর্থাৎ, সেই এলোমেলো ও অদৃশ্যমান ডেটা, যা প্লেইনটেক্সট থেকে তৈরি হয়েছে। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না ভিতরে কী লেখা আছে।

  5. ডিক্রিপশন অ্যালগরিদম (Decryption Algorithm):
    এটি এনক্রিপশন প্রক্রিয়ার উল্টোটা। এটি সাইফারটেক্সট এবং সিক্রেট কী নিয়ে আবার প্লেইনটেক্সটে রূপান্তর করে। যদি কী ঠিক থাকে, তাহলে সঠিক মেসেজ পাওয়া যাবে।



Powered by Blogger.